১৯ ডিসেম্বর, ২০০৯

একাত্তরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ

- একরামুল হক শামীম : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৭১ সালে নারীর ওপর যে বীভৎস নির্যাতন চালানো হয়েছিল তা মানব ইতিহাসে বিরল। নারীর প্রতি অত্যাচারের সেই বিষয়গুলো কখনোই পুরোপুরি উঠে আসেনি। কখনোই উপলব্ধি করা সম্ভব হয়নি সেসব নারীর দুঃখগুলোকে, যারা রাতের পর রাত নির্মম যৌন নির্যাতন সহ্য করে গেছেন, পরনে কাপড় ছিল না, মাথার চুল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে_ এই ভেবে যাদের মাথার চুল কেটে ফেলা হয়েছিল, নিজের পরিবারের সদস্যদের সামনে যাদের ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল। নারীর ওপর যে বীভৎসতম নির্যাতন চালানো হয়েছিল ১৯৭১ সালে তার বিচার হয়নি। এমনকি এই বিষয়টি যে অন্য অপরাধগুলো থেকে আলাদা মাত্রার, সেটিও আলোচিত হয়নি। এমনকি নির্যাতিত নারীর সঠিক সংখ্যাও জানা সম্ভব হয়নি।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রথম জনসভায় বলেছিলেন, দুই থেকে আড়াই লাখ নারী যুদ্ধে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরে এ সংখ্যাটিকেই সরকারি পরিসংখ্যান হিসেবে গণ্য করা শুরু হয়। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত দৈনিক বাংলার বাণীর গণহত্যা বিষয়ক বিশেষ সংখ্যা থেকে জানা যায়, দুই থেকে আড়াই লাখের পরিসংখ্যানটি সে সময়ের সরকারি কর্মকর্তারা অনুমানের ভিত্তিতে তৈরি করেছিলেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশের ৪৮০টি থানার ২৭০টিই পাকিস্তানি সেনাদের দখলে ছিল। প্রতিদিন গড়ে ২ জন করে নিখোঁজ মহিলার হিসাব অনুযায়ী লাঞ্ছিত নারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ (মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীর সংখ্যা কত : শামীমা বিনতে রহমান, ভোরের কাগজ, ১৭ মে ২০০২)।

অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক ডা. জিওফ্রে ডেভিস দেশজুড়ে তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতায় এবং উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় চালানো নমুনা জরিপের মাধ্যমে পরিসংখ্যান তৈরি করে জানান, ৪ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার নারী মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি আরও জানান, অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যাই ২ লাখ।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত গবেষণায় দু'লাখ, তিন লাখ ও চার লাখ_ এরকম তিনটি পরিসংখ্যানের উল্লেখ রয়েছে। সুসান ব্রাউনমিলার এ সংখ্যাটিকে প্রায় চার লাখ বলে উল্লেখ করেছেন (Against Our Will: Men, Women and Rape; Susan Brownmiller; Page 81)।
ওয়ারক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি একাত্তরের নারী নির্যাতনের একটি সামগ্রিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে জানা যায় :

১. স্পট ধর্ষণ, স্পট গণধর্ষণ ও বন্দি নির্যাতিতার সম্মিলিত সংখ্যা ৪ লাখ ৬৮ হাজার (স্পট ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ৩ লাখ ৭ হাজার ৬০০ এবং বিভিন্নভাবে পাকিস্তানিদের কাছে বন্দি নির্যাতিত নারী ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০)।
২. চিহ্নিত স্থানে নির্যাতিত, নিহত ও অপহৃতসহ স্পট ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ৩ লাখ ৬০ হাজার। এদের মধ্যে শুধু স্পট ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার প্রায় ৩ লাখ ২৭ হাজার যা মোট নির্যাতিতার ৭০ ভাগ। এদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন প্রায় ৩০ ভাগ অর্থাৎ ১ লাখ ৮ হাজার নারী (একাত্তরের নারী নির্যাতন : ইতিহাসের কৃষ্ণ অধ্যায়; ডা. এমএ হাসান; প্রসঙ্গ ১৯৭১ : মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, পৃষ্ঠা ৩)।

যৌন নির্যাতন
অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক ডা. জিওফ্রে ডেভিস বলেছেন, পৌনঃপুনিক লালসা চরিতার্থ করার জন্য হানাদার বাহিনী অনেক তরুণীকে ধরে তাদের শিবিরে নিয়ে যায়। এসব তরুণীর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণ কিংবা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে হয় তাদের পরিত্যাগ করা হয়েছে, নয়তো হত্যা করা হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় বারো-তেরো বছরের বালিকাদের শাড়ি খুলে নগ্ন অবস্থায় রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে, যাতে তারা পালিয়ে যেতে অথবা আত্মহত্যা করতে না পারে। [৪]

১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দীর্ঘ ৯ মাস নারীদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পাকিস্তানি সেনারা নারীদের বন্দি করে নিয়ে গেছে নিজস্ব ক্যাম্পে এবং বাঙ্কারে। দিনের পর দিন সেখানে তাদের আটকে রেখে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। ক্যাম্প পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেসব নারীকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্য ক্যাম্পে।

ডা. এমএ হাসান লিখিত 'যুদ্ধ ও নারী' গ্রন্থে তুলে ধরা হয়েছে এমনই একজনের কাহিনী (যুদ্ধ ও নারী; ডা. এমএ হাসান, পৃষ্ঠা ২৭-২৮)। 'একাত্তরের মে মাসে হবিগঞ্জের লস্করপুরে চা বাগান থেকে পাক আর্মিরা যখন সুপ্রিয়া নায়েককে ধরে নিয়ে যায়, তখনও তার বয়স ষোলো পেরোয়নি। প্রথম দিন চা বাগানের এক ক্যাম্পে নিয়ে কয়েকজন পাক আর্মি তার ওপর বীভৎস যৌন নির্যাতন চালায়। সে-ই ছিল শুরু। তারপর পাকিস্তানিরা তাকে নিয়ে গেছে এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে, এক বাগান থেকে অন্য বাগানে। দিনের পর দিন ওইসব ক্যাম্পের আর্মি অফিসাররা তার ওপর নির্দয় নির্যাতন চালিয়েছে।'

অপহরণ
যুদ্ধের সময় শুধু যৌন নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি পাকবাহিনী, বেশকিছু নারীকে 'কমফোর্ট গার্ল' হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তারা। ১৯৭২ সালের ২০ জুন দৈনিক ইত্তেফাকের তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত 'বাংলাদেশ হইতে অপহৃতা সাড়ে ৭০০ তরুণীর মর্মবেদনার কাহিনী' শীর্ষক খবরে লেখা হয়, 'দখলদার পাকবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা হইতে অপহরণ করিয়া নেওয়া ৭শ' ৫৫ জন বাঙালি তরুণী করাচি ও কোয়েটার বন্দিশিবিরগুলিতে অমানুষিক দৈহিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকারে পরিণত হইয়াছে।'

গর্ভধারণে বাধ্য করা
অফিসিয়াল ডকুমেন্ট অনুযায়ী যুদ্ধের সময় ফোর্সড প্রেগন্যান্সির (Forced Pregnancy) শিকার হন কমপক্ষে ২৫ হাজার নারী। [৮] অন্যদিকে সুসান ব্রাউনমিলার লিখেছেন, ধর্ষণের পরও বেঁচে থাকা নারীদের মধ্যে ২৫ হাজার জন গর্ভধারণ করেছিলেন। তবে ওয়ারক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির ডা. এমএ হাসান দাবি করেন, 'এ ধরনের নারীর সংখ্যা ছিল কমপক্ষে ৮৮ হাজার ২০০।

জেনোসাইডাল রেপ
জেনোসাইডাল রেপের সঙ্গে গণহত্যার সম্পর্ক রয়েছে। যুদ্ধকালীন সব ধর্ষণই গণহত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। যদি ধর্ষণের সঙ্গে কোনো একটি গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা থাকে; অর্থাৎ গণহত্যার যেসব উপাদান জরুরি তা যদি ধর্ষণের মাধ্যমে করা হয়, সেটাই জেনোসাইডাল রেপ। জেনোসাইডাল রেপ বিষয়টি প্রথম আলোচিত হয় রুয়ান্ডায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে জেনোসাইডাল রেপ সংঘটিত হয়েছিল। এনবিসি নিউজ ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি একটি রিপোর্ট করে, যাতে জানা যায় ১৩ বছরের মেয়েরাও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাদের স্থানীয় সহযোগী, রাজাকার এবং আলবদর বাহিনী বিশেষত হিন্দু জনগোষ্ঠীকে নির্যাতনের জন্য ধর্ষণ করত।

আইনের আলোয় দেখা
নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের ১৭৯ পৃষ্ঠার রায়ে কোথাও ধর্ষণের বিচারের উল্লেখ নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ফারইস্ট চলার সময় ধর্ষণের কিছু অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। টোকিও প্রসেডিং চলার সময় 'রেপ অব নানকিং' আলোচিত হয়।

নুরেমবার্গ ট্রায়াল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে নতুন এক কনসেপ্টের উদ্ভব হয় আন্তর্জাতিক আইন পরিমণ্ডলে। সেটি হলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের চার্টার অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনালের (Charter of the International Military Tribunal) আর্টিকেল ৬(সি) মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করেছে। সংজ্ঞাটিতে হত্যা-দাসত্ব ছাড়াও আরও বেশকিছু বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে; কিন্তু ধর্ষণের বিষয়টির উলেল্গখ নেই। পরে বাংলাদেশ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে আইন প্রণয়ন করে [The International Crimes (Tribunals) Act, 1973] তখন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে। বাংলাদেশ 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ'কে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে ধর্ষণকে যুক্ত করে। আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে সেটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোজন।

১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল ফর রুয়ান্ডা (International Criminal Tribunal for Rwanda- ICTR) গঠন করে। আইসিটিআরের স্ট্যাটুট-এর ৩ অনুচ্ছেদে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ'কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের ৩(জি)-তে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' হিসেবে ধর্ষণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; যদিও Dr. Frances T. Pilch তার 'Rape as Genocide: The Legal Response to Sexual Violence' শীর্ষক রচনায় দাবি করেছেন, আইসিটিআরের স্ট্যাটুটে প্রথমবারের মতো ধর্ষণকে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' হিসেবে সংযুক্ত করা হয়; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারও অনেক আগে ১৯৭৩ সালেই বাংলাদেশ ধর্ষণকে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' হিসেবে সংযুক্ত করে।

পরে রোম স্ট্যাটুটে (Rome Statute of te International Criminal Court) 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ'কে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে আরও ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া হয়।

অনুচ্ছেদ ৭(১)(জি)-তে বলা হয়েছে, Rape, sexual slavery, enforced prostitution, forced pregnancy, enforced sterilization, or any other form of sexual violence of comparable gravity মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এটি আগের চেয়ে বিস্তৃত সংজ্ঞায়ন। জোরপূর্বক গর্ভধারণে বাধ্য করা (Forced pragnancy) বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে রোম স্ট্যাটুটের আর্টিকেল ৭(২)(এফ)-এ।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, 'ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক গর্ভধারণে বাধ্য করা'সহ অন্য বিষয়গুলো বিচারের ক্ষেত্রে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' কনসেপ্টের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

একটি প্রস্তাবনা
১৯৭১ সালে নারীর ওপর ধর্ষণের বাইরে আরও অনেক মাত্রার নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এ ধরনের নির্মম নির্যাতনের বিচার হওয়া জরুরি। রোম স্ট্যাটুট অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে ধর্ষণ, জোরপূর্বক গর্ভধারণে বাধ্য করাসহ আরও কিছু বিষয় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এর মাধ্যমে ১৯৭১ সালে নারীর ওপর যে ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছিল, তার পুরোপুরি বিচারের আলোয় রাখা সম্ভব হয় না। তাই প্রাসঙ্গিকভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের উচিত নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ (Crime against women) নামের নতুন একটি কনসেপ্ট সংজ্ঞায়িত করে অপরাধীদের বিচার করা। ধর্ষণ, অপহরণ, জোরপূর্বক গর্ভধারণে বাধ্য করাসহ নারীকে যুদ্ধক্যাম্পে আটকে রাখা, শারীরিক এবং মানসিকভাবে আক্রান্ত করা, ঠিকমতো খাবার না দেওয়া, পরিধেয় কাপড়ের ব্যবস্থা না করা_ এসবই হতে পারে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ।

যুদ্ধক্যাম্পে আটকে রেখে দিনের পর দিন অনাহারে রেখে, পরিধেয় কাপড় কেড়ে নিয়ে নারীদের ওপর মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে যে অত্যাচার করা হয়েছে, তার কঠিন বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য আইনগতভাবে 'নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ' কনসেপ্টটিকে গ্রহণ করা উচিত।

সমকাল, ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৯, লিংক

৩টি মন্তব্য:

  1. মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক লেখাগুলি পড়ে এটাই বোঝা যায় যে ,পূর্ব বঙ্গের মুসলিম জনগোষ্ঠি ১৯৪৭ পরবর্তি সময় থেকেই চায়না ঐ দেশে হিন্দুদের কোনো অস্তিত্ব থাকুক। কেননা ১৯৭১ পূর্ববর্তি সময়ে হিন্দুদের ওপর যে নৃশংস অত্যাচার পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকাররা করেছিল, পরবর্তি কালে কিছু কম হলেও সেই একই অত্যাচার জামাতি ও খালেদারা করে চলেছে। রাষ্ট্র বাংলাদেশ তাঁর হিন্দু সন্তানদের কোনো রক্ষাকবচ দেননি।অথচ মুক্তি যুদ্ধে আনুপাতিক হারে তারাই মুসলিমদের থেকে বেশী বলিদান দিয়েছে।বাংলাদেশি মুসলিমদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতকে দেখে অনেক কিছু শেখার আছে। -সুশান্ত কর্মকার, ভারত।

    উত্তরমুছুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ