৬ মার্চ, ২০১০

৬ মার্চ, ২০১০

উনিশ শ' একাত্তর সালের ৬ মার্চেও বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছিল হরতাল। সকাল ছ'টা থেকে দুপুর দু'টা পর্যন্ত। পাকিসত্মানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন একাত্তরের এদিন দুপুরে। তাঁর ভাষণ পূর্ণ ছিল বীর বাঙালীকে উদ্দেশে করে হুমকি ও ধমক। ছিল পাকি সামরিক বাহিনী দিয়ে বাঙালীকে শায়েস্তা করার হুমকি।
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত_ বেপরোয়া বাঙালী তখন স্বাধীনতার স্বপ্নে যেমন উদ্দীপ্ত, তেমনি ফুঁসছিল বিদ্রোহ, বিক্ষোভ ও ঘৃণায়।

পরদিন ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেবেন বাঙালীর মুক্তির দিশারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষণে তিনি কী বলবেন? বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার ঘোষণা তাঁর বর্জ্রকণ্ঠে উচ্চারিত হবে কি? এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্ত ছিল না সাড়ে ৭ কোটি বাঙালীর মধ্যে।

একাত্তরের পহেলা মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জনের কর্মসূচী ৭ মার্চ ঘোষণা করা হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের একদিন আগে পাকিসত্মানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার হুমকিধমকি স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে হতাশ, ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত করে তোলে। এমনিতেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে লাগাতার হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলন চলছে। পাকি প্রেসিডেন্টের ভাষণের পর তা নতুন মাত্রা পায়। ঘর থেকে রাজপথে নেমে আসে বিক্ষুব্ধ হাজার হাজার স্বাধীনতাকামী বাঙালী। সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর অধীর অপেক্ষা; দৃষ্টি রেসকোর্সের ময়দানে আয়োজিত জনসভার দিকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ